যমুনায় আ.লীগবিরোধী বিক্ষোভ, জুমার পর সমাবেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশ: ৯ মে, ২০২৫, ৬:১৬
যমুনায় আ.লীগবিরোধী বিক্ষোভ, জুমার পর সমাবেশ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করার দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা এলাকা। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত থেকে সেখানে শুরু হওয়া বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার (৯ মে) সকালে সরেজমিনে যমুনা ভবনের সামনে দেখা যায়, রাতভর অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা এখনো বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ ব্যান’, ‘২৪ এর বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’সহ নানা স্লোগানে মুখরিত পুরো এলাকা।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, জুমার নামাজের পর যমুনার পাশে মিন্টো রোড সংলগ্ন ফোয়ারার কাছে বড় সমাবেশের আয়োজন করা হবে। সেখানে একটি অস্থায়ী মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে পাঁচটি ট্রাকের ওপর।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চালানো অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের সহিংসতায় অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হন। এরপরই দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা।

সরকার পতনের পর থেকেই বিচারের দাবিতে রাজপথে সক্রিয় রয়েছে গণঅভ্যুত্থনে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলো। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে নতুন করে জোরদার হয় আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টায় এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর আহ্বানে যমুনার সামনে শুরু হয় টানা অবস্থান কর্মসূচি। এরপর একে একে যোগ দেয় জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, জুলাই ঐক্য, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, আপ বাংলাদেশ, ইনকিলাব মঞ্চসহ আরও একাধিক সংগঠন। কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ অভ্যুত্থনে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী সেখানে উপস্থিত হয়েছেন।

বিক্ষোভ ঘিরে যমুনা ভবন ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কাকরাইল মসজিদ ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিক থেকে যমুনায় প্রবেশের সড়কে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচল। জুমার নামাজের পর আন্দোলনকারীরা মঞ্চে উঠে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে।