যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, অভিযুক্ত জামায়াত নেতা ও তার জামাতা

কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলায় গুরুতর আহত যুবদলের সাবেক নেতা রহিম উদ্দিন সিকদার (৪৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে রবিবার রাতে ইউনিয়নের ফাতেরঘোনা এলাকায় তার ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছে পরিবার।
নিহতের ভাই ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান বলেন, জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার ভাইদের পরিকল্পিতভাবে হামলার শিকার করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় জামায়াত নেতা ও ফাতেরঘোনা ইউনিট জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আব্দুল আল নোমান, তার জামাতা মিজান, সহযোগী মুজিব ও এনাম—এই চারজন মিলে রহিম উদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই তিনি গুরুতর আহত হন। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হয়।
রহিম উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় কক্সবাজার জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ভারুয়াখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি রহিম সিকদারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে জামায়াত নেতারা। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
স্থানীয় নেতারা জানান, রহিম উদ্দিন ছিলেন একজন সক্রিয় ও জনপ্রিয় বিএনপি নেতা। এলাকায় তার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতাও ছিল। অনেকেই তার মৃত্যুকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও উল্লেখ করেছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খাঁন বলেন, ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত মিজানকে আমরা আটক করেছি। অন্যদেরও খুব শিগগির আইনের আওতায় আনা হবে।
আপনার মতামত লিখুন