লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভের জেরে কারফিউ ঘোষণা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক :
প্রকাশ: ১১ জুন, ২০২৫, ৫:০২
লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভের জেরে কারফিউ ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারি করা হয়েছে। শহরের কেন্দ্রীয় একটি অংশে এই কারফিউ ঘোষণার কথা জানিয়েছেন মেয়র কারেন ব্যাস।

মূলত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী কঠোর অভিযানের প্রতিবাদে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান বিক্ষোভের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, কারফিউটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এটি শহরের মাত্র এক বর্গমাইল (প্রায় ২.৬ বর্গকিলোমিটার) এলাকাজুড়ে বলবৎ থাকবে।

মেয়র কারেন ব্যাস জানান, চলমান সহিংসতায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। শুধু গত রাতেই ২৩টি দোকান লুট করা হয়েছে। “আপনি যদি ডাউনটাউন এলএ-তে গিয়ে থাকেন, দেখবেন সর্বত্রই গ্রাফিতি—যা ব্যবসা ও সম্পত্তির বিশাল ক্ষতি করেছে,” বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “আমার বার্তা স্পষ্ট—যদি আপনি ডাউনটাউন এলএ-তে বসবাস না করেন বা সেখানে কাজের প্রয়োজন না থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে ওই এলাকা এড়িয়ে চলুন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারফিউ ভঙ্গকারীদের গ্রেপ্তার করবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।” মেয়রের মতে, এই কারফিউ কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ব্যাস বলেন, “আমি এটা স্পষ্ট করতে চাই—ঘটনাগুলো ডাউনটাউনের ছোট একটি অংশে ঘটলেও যেভাবে তা মিডিয়ায় উপস্থাপিত হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে যেন গোটা শহরই অচল হয়ে গেছে। বাস্তবতা তা নয়।”

এদিকে, লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের প্রধান জিম ম্যাকডোনেল জানিয়েছেন, গত চার দিনে অন্তত ৩৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে মঙ্গলবারেই প্রায় ২০০ জনকে আটক করা হয়েছে।

অভিবাসনবিরোধী অভিযান ঘিরে এই বিক্ষোভ কেবল ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ এখন ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহর ও অঙ্গরাজ্যে, যার মধ্যে রয়েছে বোস্টন, হিউস্টন এবং ফিলাডেলফিয়াও।