শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য, পশ্চিমা বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশ: ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১:১৭
শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য, পশ্চিমা বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার

গাজায় চলমান যুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয় নিরসনে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ফ্রান্স ও মাল্টা, তবে তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এক বিবৃতিতে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি আনতে হলে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানই একমাত্র পথ। তিনি ইসরায়েলকে দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকর, মানবিক সহায়তা নিশ্চিত এবং পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ বন্ধ করার আহ্বান জানান।

তিনি সতর্ক করে বলেন, এসব না মানা হলে আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। স্টারমার আরও জানান, যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাকে সমর্থন করছে, তবে এটিকে প্রথম ধাপ হিসেবে দেখছে।

টেকসই শান্তির জন্য আরও কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন।

যুক্তরাজ্যের অবস্থানের বিরোধিতা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এটি মূলত হামাসকে পুরস্কৃত করার সামিল। এটি আমি সমর্থন করি না।

নেতানিয়াহু আরও একধাপ এগিয়ে সতর্ক করে দেন, এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

অন্যদিকে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ নোয়েল ব্যারো যুক্তরাজ্যের অবস্থানকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করে বলেন, গাজায় সংঘাত থামানো এবং টেকসই শান্তি আনতে এই উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

তবে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জ খানিকটা সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন।

তিনি বলেন, দ্বিরাষ্ট্র সমাধান সম্ভব হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা কোনো স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনায় নেই।

এদিকে, মাল্টা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঘোষণার পরপরই দেশটির রাস্তায় নামে হাজারো মানুষ।

তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার দাবিতে স্লোগান দেন।