সচিবালয়ে সংঘর্ষ: ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:৩৮
সচিবালয়ে সংঘর্ষ: ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে ১ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সচিবালয় নিরাপত্তা বিভাগের এসআই গোলাম মুক্তি মাহমুদ এই মামলাটি করেন। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এজাহার গ্রহণ করে আগামী ২৮ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণ

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা ‘মাইলস্টোন ট্রাজেডি’ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতসহ বিভিন্ন দাবিতে “মার্চ টু শিক্ষা মন্ত্রণালয়” কর্মসূচি পালন করে।

প্রথমে তারা শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষাভবনের দিকে মার্চ করলেও পরে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।

পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সচিবালয়ের সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বিক্ষোভকারীদের অনুরোধ করা হয় যেন তারা ভেতরে প্রবেশ না করে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের মেইন গেটে গিয়ে ভাঙচুর শুরু করে এবং সেখান থেকে ভেতরে প্রবেশ করে।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাধা দিতে গেলে বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালায়।

এতে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি ও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শাহবাগ থানা প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জিন্নাত আলী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষের প্রেক্ষাপট

গত সোমবার ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ঘটে যাওয়া বিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনার জেরে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। শিক্ষা উপদেষ্টার দেরিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত, রাত ৩টার পর পরীক্ষার স্থগিতাদেশ জানানো এবং তা ছাত্রদের কাছে না পৌঁছানো নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়।

পরদিন মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেয় এবং সি আর আবরার ও শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জুবায়েরের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করে।

বেলা দেড়টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের প্রধান ফটকে ঢুকে পড়লে পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নেয়। পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

এই সহিংসতায় অন্তত ৬৬ শিক্ষার্থী আহত হন এবং তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।