সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ভূমিদস্যু গফফারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাহাড় সমান

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা ভূরুলিয়া ইউনিয়নের মধুসূদনপুর গ্রামের মুনসুর আলী মল্লিকের পুত্র আব্দুল গফফার মল্লিক ওরফে ত্রাস গফফার বিরুদ্ধে খাষ খালের উপর বাঁধ নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের বাধা সৃষ্টি অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলা মধুসুদনপুর মৌজার মধুসুদনপুর জলমাহল খাল খাষ থাকায় তাহা কৃর্তপক্ষকে ভুল বুঝাইয়া বন্দোবস্ত নিয়ে খালের উপর বাঁধ নির্মাণ করিয়া লবন পানি উত্তোল করে মাছ চাষ করে আসছে।
খালের উপর বাঁধ নির্মাণের ফলে এলাকায় লবন পানির প্রভাব পড়ছে এবং বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা না থাকায় ধান্য ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে ও ফসলী জমিতে লবন পানি প্রবেশে ফসল নষ্ট হচ্ছে। মধুসুদনপুর খালে বেঁড়িবাঁধের কারনে এলাকায় প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার ফসল নষ্ট হচ্ছে এবং মাটির উর্বর ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। অত্র এলাকার কয়েক হাজার বিঘা জমির মালিক পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে এবং বাঁধের দুইপাশে ঘেড়া বেড়া দেওয়ার কারনে কোন গবাদি পশু বিলে ঘাষ খেতে নামতে পারছে না।
এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত আব্দুল গফফার মল্লিক এর নামে বন্দোবস্তকৃত খালটির বন্দোবস্ত বাতিল করে খালটি উন্মুক্ত করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কৃষক আমানত সরদার, প্রশান্ত ঘোষ, সির্দ্ধর্থ ঘোষ, শাহজান সিরাজ সহ অনেকে জানান, গফ্ফার মল্লিক একজন সচ্ছল লোক ও তার নামে ও তার পিতার নামে জমি থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে নিজেকে ভূমিহীন দাবি করে সে সরকারী খাষ খাল বন্দোবস্ত গ্রহণ করেন। তিনি বন্দোবস্ত নিয়ে খালের উপর বেড়ি নির্মাণ করে এলাকার পানি নিষ্কাষন সহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করছে। এবিষয়ে তাহাকে বেড়ি কেটে খাল উন্মুক্ত করার কথা বললে আমাদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। আমরা বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছি।
আরও জানাযায়, গফ্ফার মল্লিক একজন চিহ্নিত মামলাবাজ। তাহার কাজ হলো সরকারী জমি বন্তোবস্ত নেওয়া ও জন দূর্ভোগ বাড়ানো। তাহার এসব বিষয়ে কেউ মুখ খুললে তার মামলা হামলা ভয়-ভীতির দিকে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়।
এলাকার বিভিন্ন মানুষকে খাষ জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। তার পিতার নামে মধুসূদনপুর মৌজায় এসএ ৭নং খতিয়ানে ৫.০৭ একর জমি থাকার সত্বেও সে উপজেলাভূমি অফিসকে ভুল বুঝিয়া তার নামে ১২০/৮৯-৯০ নং বন্দোবস্ত কেসের মাধ্যমে ১.২৫ একর জমি খাস খাল বন্দোবস্ত নেয়। বর্তমান খতিয়ানের তাঁর পিতার নামে ১৭/১৮ নং খতিয়ান ৫.০৭ শতক জমি রেকর্ড হয়েছে।
তার পৈত্রিক সূত্রে বোঝা যায় সে কোন ভূমিহীন নয়। এলাকাবাসীর দাবি অত্র বন্দোবস্ত বাতিল করে জনসাধারণের স্বার্থে খালটি উন্মুক্ত করে পানি নিষ্কাষনে পথ সুগম করা।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রনী খাতুন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন