১৪ বছর পর সিরিয়ায় কার্যক্রম চালু করছে বিশ্বব্যাংক

১৪ বছর পর সিরিয়ায় আবারও কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গৃহযুদ্ধের কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত থাকা এই কার্যক্রম পুনরায় চালুর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে সৌদি আরব ও কাতার। দেশ দুটি সিরিয়ার বকেয়া প্রায় ১৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করায় বিশ্বব্যাংকের জন্য পথ খুলে যায়। খবর: বাসস, এএফপি।
বিশ্বব্যাংক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “দীর্ঘ সংঘাতের পর সিরিয়া এখন পুনর্গঠন ও উন্নয়নের পথে রয়েছে।” এতে আরও বলা হয়, নতুন সিরীয় সরকারের সঙ্গে প্রথম প্রকল্পটি হবে দেশটির বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে। প্রকল্পটি জরুরি চাহিদা মোকাবিলার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন বিনিয়োগের অংশ হিসেবে গৃহীত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর দেশটির সঙ্গে সব ধরনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বিশ্বব্যাংক। এর ফলে দেশটি উন্নয়ন ঋণ, অনুদান ও কারিগরি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে।
বিশ্বব্যাংকের এই পদক্ষেপ এসেছে এমন এক সময়, যখন সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে অপসারণের পর নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে এবং পশ্চিমা দেশগুলো দামেস্কের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পথে এগোচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছেন, সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বলেন, “সিরিয়াকে গৌরবের পথে এগিয়ে নিতে এই সিদ্ধান্ত সহায়ক হবে।” একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ সিরিয়ার অর্থনীতি, আর্থিক খাত ও অবকাঠামো পুনর্গঠনে সহায়তা করবে এবং দেশটিকে একটি উজ্জ্বল ও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রকল্প ও অর্থনৈতিক সহায়তা কেবল সিরিয়ার পুনর্গঠন নয়, বরং গোটা অঞ্চলকে স্থিতিশীল করতেও অবদান রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আপনার মতামত লিখুন