যশোরে কিট সংকটে বন্ধ সরকারি কোভিড পরীক্ষা, বাড়ছে উদ্বেগ

যশোরে আবারও দেখা দিয়েছে কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট সংকট। কিটের অভাবে সরকারি পর্যায়ে কোভিড টেস্ট কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে উপসর্গ থাকা রোগীদের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে বেসরকারি ক্লিনিকের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটিপিসিআর ল্যাব প্রস্তুত রাখা হলেও কিট না থাকায় সেখানে পরীক্ষা চালু করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগকে কিট সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রাপ্তি সাপেক্ষে দ্রুতই টেস্ট চালু করা সম্ভব।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হোসাইন শাফায়েত বলেন, হাসপাতালের কাছে থাকা কিছু কিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। আশা করছি, এক-দুই দিনের মধ্যে ২ হাজার নতুন কিট আসবে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যবিপ্রবি ল্যাবে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২১ জুলাই পর্যন্ত যশোরসহ সাতটি জেলার ১ লাখ ৬ হাজার ৩২৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২২ হাজার ৭৯৯টি রিপোর্ট পজিটিভ আসে, যা ছিল মোট পরীক্ষার ২১.৪৩ শতাংশ।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা না হওয়ায় অনেক আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হচ্ছেন না। এতে সংক্রমণের আশঙ্কাজনক বিস্তার ঘটতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে কিট সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে যশোরে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। সকাল ও রাতের বিভিন্ন সময়ে মারা যান বাঘারপাড়া উপজেলার শেখ আমির হোসেন এবং মনিরামপুর উপজেলার মো. ইউসুফ (৪২)। এ নিয়ে চলমান নতুন সংক্রমণের ঢেউয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত শনাক্ত তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হলো।
আপনার মতামত লিখুন