শেষ ২৪ ঘণ্টা: রক্ত, রকেট আর প্রতিশোধে দগ্ধ মধ্যপ্রাচ্য

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশ: ২০ জুন, ২০২৫, ৬:০৯
শেষ ২৪ ঘণ্টা: রক্ত, রকেট আর প্রতিশোধে দগ্ধ মধ্যপ্রাচ্য

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা তীব্র আকার ধারণ করেছে। একদিকে ইসরায়েলে একের পর এক মিসাইল আঘাত হানছে, অন্যদিকে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ইরানের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বোমা বর্ষণ করছে। এতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ইরানের অস্ত্র কারখানা ও সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্র। বিশ্বরাজনীতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে নতুন নতুন দেশ এই সংঘাতের পক্ষে ও বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো একনজরে:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ইরানের ওপর সামরিক হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে ‘আলোচনার যথেষ্ট সম্ভাবনা’ থাকায় তিনি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।

 

বিবিসির উত্তর আমেরিকা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে গোপন কূটনৈতিক আলোচনা চলছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

 

ইরানি হামলায় ইসরায়েলের একটি হাসপাতালে কমপক্ষে ৭১ জন আহত হয়েছেন। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, “ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে আর ক্ষমতায় রাখা যাবে না।”

 

ইরান পুরোপুরি ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। দেশটির ভেতরে এই পরিস্থিতিকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ সময়’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।

 

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যৌথভাবে ঘোষণা দিয়েছে, “ইরানকে কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেওয়া হবে না।” এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির মধ্যে বৈঠক হয়েছে।

ফ্রান্স, জার্মানি, ইইউ ও ইরান—এই চার পক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শুক্রবার জেনেভায় ল্যামির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

 

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৭ জন ফিলিস্তিনি। হামাসের বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

ইসরায়েলের হাইফা শহরের বাজান তেল শোধনাগার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে সতর্ক করেছেন মেয়র ইয়োনা ইয়াহাভ। ইরানি হামলার পর সেখানে থাকা কর্মীদের সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিশ্বের সামগ্রিক কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যে বড় ধাক্কা দিতে পারে। আন্তর্জাতিক মহলে চলছে গভীর উদ্বেগ ও আলোচনা।