মে থেকে পুশইন ২ হাজার ছাড়াল: বিজিবি

ফাইল ছবি
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সিলেট বিভাগের চারটি সীমান্ত দিয়ে ৫৫ জন বাংলাদেশিকে পুশইন (ঠেলে পাঠানো) করেছে। বুধবার (গতকাল) সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের আটক করে। বিজিবির তথ্যমতে, চলতি বছরের ৪ মে থেকে এ পর্যন্ত বিএসএফ মোট ২,০০৪ জন বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠিয়েছে।
৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক জানান, বুধবার যাদের পুশইন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩৩ জন নারী এবং ১০ জন শিশু রয়েছে।
বিজিবি জানায়, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ সীমান্ত দিয়ে সাতটি পরিবারের ১৯ জনকে ঠেলে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ১৭ জন নড়াইল জেলার বাসিন্দা, বাকিরা কুষ্টিয়া ও খুলনার। জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর সীমান্তের মোকামপুঞ্জি দিয়ে ৯টি পরিবারের ১৩ জনকে ঠেলে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে আটজন নারী, তিন শিশু এবং অন্যান্যরা যশোর, হবিগঞ্জ, নরসিংদী, সিলেট, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও বরিশালের বাসিন্দা।
এছাড়া গোয়াইনঘাটের তামাবিল সীমান্তের নলজুরি এলাকা দিয়ে একটি পরিবারের দুই সদস্যকে ঠেলে পাঠানো হয়, যাদের বাড়ি যশোরে। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকোট সীমান্তের ছনবাড়ী এলাকা দিয়ে আরও আটটি পরিবারের ২১ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ১৫ জন নারী, দুই শিশু এবং বেশিরভাগের বাড়ি সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল ও সিলেটে।
পুশইনকৃত ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, যদি কোনো ভারতীয় নাগরিককে পুশইন করা হয়ে থাকে, তবে তাকে অবশ্যই ফেরত পাঠানো হবে। গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে আয়োজিত মাসব্যাপী ফটোগ্রাফি ও গ্রাফিতি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন যে বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সরকার কোনোভাবেই নমনীয় নয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, কেউ আইন ভঙ্গ করেছে বলে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলি করে হত্যা করার অধিকার নেই। এটি বেআইনি। আমরা এ ধরনের ঘটনার বিচার চেয়েছি এবং যারা এসব করেছে, তাদের যেন ভারতীয় আইনে শাস্তি দেওয়া হয় সেই দাবি জানিয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন