নির্বাচন ঘোষণার পর জামায়াতের সাত দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৬:২১
নির্বাচন ঘোষণার পর জামায়াতের সাত দফা দাবি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণার পর জামায়াতে ইসলামী সাত দফা দাবি উত্থাপন করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এসব দাবির মধ্যে রয়েছে ৫ আগস্টের ‘গণহত্যা’র বিচার, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন এবং নির্বাচন পদ্ধতিসহ রাষ্ট্রীয় সংস্কারের প্রস্তাব।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’-এ বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ কয়েকটি দলের অংশগ্রহণে দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত সমাবেশে “জুলাই সনদ” ঘোষণা করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ওই দিন রাতেই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি ফেব্রুয়ারির আগে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। পরদিন নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে এ ঘোষণায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করায় জামায়াত “বিস্মিত ও হতবাক” হয়েছে বলে জানায়।

যদিও দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, “বিস্মিত হলেও জাতীয় স্বার্থে আমরা এ ঘোষণাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে চাই।”

পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকে জামায়াত জুলাই ঘোষণাপত্রকে ‘অসম্পূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে তা সংশোধনের আহ্বান জানায়। বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং পরবর্তী কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

নায়েবে আমির মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং নির্বাহী পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। এ লক্ষ্য পূরণে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিয়ে এর আলোকে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।”

জামায়াতের সাত দফা দাবি:

>> ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ও অন্যান্য সময় সংঘটিত সব গণহত্যার বিচার।

>> রাষ্ট্রের সব স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার।

>> ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন।

>> জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন।

>> জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন।

>> প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ।

>> রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতকরণ।