‘জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি’ চালু করল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে প্রতি বছর ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি’ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বৃত্তি পাবেন বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ ও ইনস্টিটিউটের প্রান্তিক, সুবিধাবঞ্চিত ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মেধাবী শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার মাসব্যাপী জুলাই গণঅভ্যুত্থান কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃত্তির চেক তুলে দেন।
রাজধানীতে নিজ কার্যালয়ে এই চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের রাষ্ট্রের কাঠামো বদলে দেওয়ার এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। সেই আন্দোলনে শহীদ তরুণদের স্মরণে এই বৃত্তি চালু করা হয়েছে।”
এ বছর সারাদেশের ৭২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২,০৪০ শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পাবেন। অনুষ্ঠানে চেক গ্রহণ করেন সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের শিক্ষার্থী হাবীবা আক্তার, তেজগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী এস এম আবু তালেব এবং ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী খন্দকার মাহমুদুল হাসান।
শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার বলেন, এক বছর আগে তরুণদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া গণআন্দোলন আমাদের নাগরিকত্বের নতুন সংজ্ঞা দিয়েছে। আমরা আজ আর নিপীড়িত প্রজা নই, বরং অধিকারভোগী সচেতন নাগরিক।
তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান রাষ্ট্রকে একব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসন থেকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। এই পরিবর্তনের ধারায় রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে কাজ করছে বর্তমান সরকার। শিক্ষা হচ্ছে এই রাষ্ট্র সংস্কারের অন্যতম ভিত্তি।
সিআর আবরার আরও বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ইতোমধ্যে গুণগত পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে শিশু থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী—সবাই জ্ঞান, ন্যায় ও নৈতিকতার চর্চায় অংশ নিতে পারে।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানউল্লাহ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. লুৎফর রহমান এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ জন শিক্ষার্থী শহীদ হন। তাঁদের স্মরণেই চালু হয়েছে এই বার্ষিক বৃত্তি।
আপনার মতামত লিখুন