সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কড়াকড়ি: কার্যক্রম ও প্রচারণাও নিষিদ্ধ

সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ সময়োপযোগী করতে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। রোববার (১১ মে) রাতে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয় এবং পরে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
সংসদ কার্যকর না থাকায় সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এ অধ্যাদেশ জারি করেন। এতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের দুটি ধারা—ধারা ১৮ ও ধারা ২০—তে গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়েছে।
সংশোধিত ধারা ১৮-এর উপধারা (১)-এ বলা হয়েছে, ‘সত্ত্বাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারবে’ শব্দগুলোর পর যুক্ত হবে ‘বা সত্ত্বার যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে’। অর্থাৎ, কোনো সত্তা বা সংগঠনকে শুধু নিষিদ্ধ করাই নয়, তার যাবতীয় কার্যক্রমও রাষ্ট্র চাইলে নিষিদ্ধ করতে পারবে।
ধারা ২০-এর উপধারায় একাধিক ভাষাগত ও কার্যকর পরিবর্তন আনা হয়েছে। উপধারা (১)-এর ‘যদি কোনো ব্যক্তিকে ধারা ১৮ এর বিধান অনুসারে তালিকাভুক্ত করা হয় বা কোনো সত্ত্বাকে নিষিদ্ধ করা হয়’ অংশটি পরিবর্তন করে করা হয়েছে ‘যদি কোনো ব্যক্তি বা সত্ত্বার বিরুদ্ধে ধারা ১৮ এর উপধারা (১) এ বর্ণিত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়’।
এছাড়া উপধারা (১)-এর দফা (গ)-তে ‘নিষিদ্ধ’ শব্দের পরিবর্তে ‘উক্ত’ শব্দ বসানো হয়েছে। দফা (ঙ)-এর পরিবর্তে নতুন দফা যোগ করে বলা হয়েছে—যে কোনো নিষিদ্ধ সত্ত্বা কর্তৃক বা পক্ষে বা সমর্থনে প্রেস বিবৃতি, মুদ্রণ, প্রচারণা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ যেকোনো মাধ্যমে প্রচার, সভা-সমাবেশ, সংবাদ সম্মেলন বা জনসম্মুখে বক্তৃতা নিষিদ্ধ থাকবে।
একই ধারার উপধারা (২) এবং (৩)-এও সংশ্লিষ্ট শব্দ ও সংখ্যা প্রতিস্থাপন করে স্পষ্টীকরণ করা হয়েছে, যাতে ধারা ১৮ অনুযায়ী নেওয়া ব্যবস্থা কার্যকর ও আইনি দৃষ্টিকোণে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নযোগ্য হয়।
আপনার মতামত লিখুন