সুনামগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা :
প্রকাশ: ১২ জুলাই, ২০২৫, ৬:০৭
সুনামগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

সুনামগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক রাতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার বাগানবাড়ি সীমান্তে এবং শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার মিনাপুর সীমান্তে এই দুটি ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃপক্ষ।

সুনামগঞ্জে নিহত শফিকুল ইসলাম
সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকারিয়া কাদির জানান, শুক্রবার রাতে বাগানবাড়ি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে গরু আনতে গেলে বিএসএফের গুলিতে শফিকুল ইসলাম (৪৫) নামের একজন বাংলাদেশি নিহত হন।

নিহত শফিকুল দোয়ারা বাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

দোয়ারা বাজার থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, শফিকুলসহ ১০-১২ জনের একটি দল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। গরু আনার সময় বিএসএফ টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে শফিকুল গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। সঙ্গীরা তাকে বাড়িতে ফেলে পালিয়ে যায়। স্বজনরা তাকে দোয়ারা বাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বুকে গুলি লেগেছিল বলে জানান ওসি। মরদেহ হাসপাতালেই রয়েছে এবং ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ ঘটনায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করেছে বিজিবি। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকারিয়া।

ঠাকুরগাঁওয়ে নিহত আসকর আলী
দিনাজপুর-৪২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান জানান, শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার মিনাপুর সীমান্তের ৩৫৩ নম্বর পিলারের কাছে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আসকর আলী (২৪)।

নিহত আসকর হরিপুর উপজেলার জীবনপুর গ্রামের কানুরার ছেলে।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোর চারটার দিকে আসকর আলীসহ কয়েকজন ব্যক্তি কাঁটাতারের কাছে গেলে ভারতের কিষাণগঞ্জ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই আসকর মারা যান। তার মরদেহ বর্তমানে ভারতের ভেতরে প্রায় ২০০ গজ অভ্যন্তরে পড়ে আছে।

নিহতের মরদেহ ফেরত আনতে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভারতের দিকেও বাড়ানো হয়েছে বিএসএফের উপস্থিতি।