ইসরাইলের বাধায় পশ্চিমতীরে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সফর বাতিল

দখলদার ইসরাইলের বাধার কারণে সৌদি আরবসহ ছয়টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পশ্চিমতীর সফর করতে পারেননি। রোববার ফিলিস্তিনের রামাল্লায় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের কথা থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত বাতিল করতে হয়েছে।
জর্ডান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক, মিসর এবং আরব লিগের প্রতিনিধিরা ওই সফরে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও ইসরাইলের নিষেধাজ্ঞায় তা আর সম্ভব হয়নি। জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিমতীরের আকাশসীমা ব্যবহারে বাধা দিয়েছে, ফলে মন্ত্রীদের সফর বাতিল করতে হয়েছে।
এক ইসরাইলি কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, “ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ একটি উসকানিমূলক বৈঠকের আয়োজন করছিল। আমরা তাতে সহযোগিতা করব না।” তিনি আরও দাবি করেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ চুক্তিভঙ্গ করছে, যদিও কোন চুক্তির কথা বলা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের এই সফরটি বাস্তবায়িত হলে এটি হতো ১৯৬৭ সালের পর তার প্রথম পশ্চিমতীর সফর।
আরব মন্ত্রীদের হেলিকপ্টারে জর্ডান থেকে রামাল্লায় পৌঁছানোর কথা ছিল, কিন্তু ইসরাইল আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় তাদের যাত্রা থমকে যায়।
এই পরিস্থিতি এমন সময় সামনে এলো, যখন ইসরাইল পশ্চিমতীরে নতুন করে ২২টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ এবং শান্তি প্রক্রিয়ার পথে বড় বাধা হিসেবে বিবেচিত।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ বসতি এলাকায় গিয়ে ঘোষণা দেন, “আমরা পশ্চিম তীরে একটি ইহুদি রাষ্ট্র গড়ব।” তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “সেই স্বীকৃতিপত্র ইতিহাসের আবর্জনার ঝুড়িতে ছুঁড়ে ফেলা হবে।”
এদিকে, আগামী জুনে জাতিসংঘে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব ও ফ্রান্স, যেখানে দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক শান্তি সমাধান পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হবে।
গাজা যুদ্ধ শুরুর আগে সৌদি আরব ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে থাকলেও, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্প্রতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া রিয়াদ তেলআবিবকে স্বীকৃতি দেবে না।
আপনার মতামত লিখুন