তারেক ও জুবাইদার দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালতের অসঙ্গতি তুলে ধরল হাইকোর্ট

বিশেষ প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৪:৫৯
তারেক ও জুবাইদার দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালতের অসঙ্গতি তুলে ধরল হাইকোর্ট

ফাইল ছবি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে একাধিক গুরুতর অসঙ্গতির বিষয় উল্লেখ করেছে হাইকোর্ট।

সোমবার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হাইকোর্টের ৫২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ এবং রায় ঘোষণায় যে দ্রুততা দেখানো হয়েছে, তা স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, বিচারিক আদালতে মাত্র ৬৪ দিনে ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং মাত্র আট দিনের ব্যবধানে রায় প্রদান—এই দ্রুততার ফলে নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে যুক্তিসংগত সন্দেহের জায়গা তৈরি হয়।

রায়ে আরও বলা হয়েছে, মামলায় অভিযোগ গঠনে আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং জুবাইদা রহমানকে কোনো নোটিশ না দিয়েই বিচারিক কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা গুরুতর ব্যত্যয়।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমান ও তাঁর মা সৈয়দা ইকবাল ম্যান্ড বানুর বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান তারেক রহমানকে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় ৩ বছর ও ২৭(১) ধারায় ৬ বছরসহ মোট ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে ৩ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়।

অন্যদিকে, ডা. জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষে গত ২৮ মে তারেক রহমানকে সম্পূর্ণভাবে এবং জুবাইদা রহমানকে আংশিক খালাস দেন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এর আগে, ১৪ মে আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন এবং আপিল গ্রহণ করেন।

রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই রায় প্রমাণ করে পূর্বের বিচারিক রায় ছিল রাজনৈতিক প্রভাবিত ও পক্ষপাতদুষ্ট।