পাথরঘাটায় কোস্টগার্ড ও জেলেদের সংঘর্ষ, আহত ১২

বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় স্থানীয় জেলে ও কোস্টগার্ডদের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে গাড়ি ভাঙচূড় ও ১২ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। ১৭ জুন মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে সাগরে মাছ ধরা জেলেরা কোস্টগার্ড স্টেশনে হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে কোস্টগার্ডের ব্যবহৃত ১টি গাড়ি ও ১ টি মটর সাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় জেলেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কোস্টগার্ড সদস্যরা ফাঁকাগুলি ও লাঠি চার্জ করে। কোস্টগার্ডের বেধরক লাঠিপেটায় ১২ জন জেলে আহত হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত বারটা পর্যন্ত উত্তেজিত জেলেরা কোস্টগার্ড স্টেশন ঘেড়াও করে রাখে আর অন্যদিকে কোস্টগার্ড সদস্যরা আত্ম রক্ষার জন্য তাদের স্টেশনের ভেতরে অবরুদ্ধ ছিল। তখন পর্যন্ত নৌবাহিনী ও স্থানীয থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা চালিয় যাচ্ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে সমুদ্রে মাঝধরা দুটি ট্রলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা জব্দ করে। এরই প্রতিবাদে পাঁচ শতাধিক জেলে ঐদিন সন্ধ্যা থেকে পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড স্টেশনের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে। রাত ৯টার দিকে জেলেরা কোস্ট গার্ডের ব্যবহৃত দুটি গাড়ি ভাঙচূড় করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলেদের ওপর লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি করলে ১২ জন আহত হয়। এরফলে এক পর্যায় স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা জেলেদের সাথে যোগ দিলে জেলেদের প্রতিবাদের মাত্রা আরও বেগবান ও উতপ্ত হয়ে ওঠে।
আটক দুটি ট্রলারের মালিক ও জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মাসুম কোম্পানী বলেন, সাগরে মাছ আহরনের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ১১ জুন। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময় মাছ আহরনের জন্য কোস্ট গার্ডদের জেলেদের পক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকা করে দিতে হয়েছে। এর পরও কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেক বাড়তি টাকার দাবী করা হয়। যে সকল ট্রলার মালিকগন উল্লেখিত অংকের টাকা দেয়নি তাদের একটি তালিকা আমার কাছে চাওয়া হয়। আমি তালিকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমার বৈধ ট্রলারগুলোকে অবৈধ বলে আখ্যা দিয়ে ট্রলারগুলোকে জব্দ করেছে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদি হাসানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, হামলার বিষয়টি দুঃখজনক। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। এই মুহূ্র্তে ঘটনাস্থলে নৌবাহিনী অবস্থান করছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন