বরিশাল সিটি নির্বাচনের ফল বাতিল ও ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৪১
বরিশাল সিটি নির্বাচনের ফল বাতিল ও ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, ছবি ইন্টারনেট থেকে।

২০২৩ সালের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ও দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে মেয়র হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন মুফতি ফয়জুল করীম নিজেই। মামলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতসহ আরও ছয়জন প্রার্থীকে বিবাদী করা হয়েছে।

মামলার আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির সাংবাদিকদের জানান, “আমরা আদালতকে জানিয়েছি, ২০২৩ সালের নির্বাচনে মুফতি ফয়জুল করীম প্রকৃত বিজয়ী হলেও পরিকল্পিতভাবে তাকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন তার ওপর হামলা হয় এবং প্রতিটি কেন্দ্রে তাকে প্রতিহত করা হয়। কিন্তু সে সময় কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পর আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রশাসনের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে নগরবাসী পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে না। “আমরা আশা করি, আদালত এই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে জনগণের প্রকৃত রায় অনুযায়ী মুফতি ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণা করবেন।”

মামলার অপর বিবাদীরা হলেন—গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, হরিণ প্রতীকের আলী গোসেন হাওলাদার, হাতি প্রতীকের আসাদুজ্জামান, লাঙল প্রতীকের ইকবাল হোসেন তাপস এবং টেবিল ঘড়ি প্রতীকের কামরুল আহসান রুপন।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে শুনানি করেছেন এবং পরবর্তী তারিখে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১২ জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (নৌকা) ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুফতি ফয়জুল করীম (হাতপাখা) পান ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট। নির্বাচনের দিন হাতপাখা প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা এবং তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিতর্কিত মন্তব্য দেশব্যাপী সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে তিনি প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমাও চান।

নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই তা নিয়ে বিতর্ক চলমান রয়েছে, যার ধারাবাহিকতায় এবার আইনি লড়াইয়ের পথে গেলেন হাতপাখা প্রার্থী।