রানীনগর রেলওয়ে স্টেশনের ১০০ বছর উদযাপন, আন্ত:নগর ট্রেন থামানোর দাবি

‘শতবর্ষের ছায়াপথে রানীনগর রেলওয়ে স্টেশন’ এই স্লোগানে নওগাঁর রানীনগর রেলওয়ে স্টেশনের শতবর্ষ উদযাপন করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় ও সামাজিক সংগঠন রাইডোর আয়োজনে আনন্দ র্যালীসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের শুরুতেই সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশনের ইতিহাস উন্মোচন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান।
পরে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে রেলওয়ে স্টেশন থেকে একটি বর্নাঢ্য আনন্দ র্যালী বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে গিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির শিক্ষক উপদেষ্টা দেওয়ান মতিউর রহমান। সংগঠনটির সদস্য কাজী ইসতিয়াক আমিন বিশালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান, রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাফিজ মো. রায়হান।
এছাড়াও রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রায়হান আলম, রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন তোতা, রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান মৃধা, রানী এনজিও’র প্রধান নির্বাহী ফজলুল হক খান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক লিটন, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোজাক্কির হোসেন, রাইডোর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ডা. মো. রুমন হোসেন।
এসময় আনন্দ র্যালী ও আলোচনা সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গন্যমান্য ব্যাক্তিরা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে কেক কাটা, ছবি প্রদর্শনী, সন্মাননা স্মারক ও পুরষ্কার প্রদান এবং সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকরা জানান, ১৯২৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় রেলওয়ে স্টেশনটির। স্টেশনটি উত্তরবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্র হয়ে ওঠে। এই দীর্ঘ যাত্রায় রেলস্টেশটি ইতিহাস, স্মৃতি, গৌরব আর অসংখ্য মানুষের স্বপ্ন ভরসার অংশ হয়ে আছে। নতুন প্রজন্মের কাছে এসব গল্প তুলে ধরতেই এই আয়োজন।
রাইডোর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ডা. মো. রুমন হোসেন স্টেশনে আন্ত:নগর ট্রেন থামানোর দাবি জানিয়ে বলেন, প্রতিদিন এই স্টেশনের ওপর দিয়ে তিনটি আন্ত:নগর ট্রেন তিতুমীর এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস এবং বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে আত্রাই (আহসানগঞ্জ) স্টেশনে থামে, তারপর সান্তাহার জংশনে পৌঁছে। তবে প্রতিদিন এই স্টেশনের ওপর দিয়ে এসব ট্রেন চলাচল করলেও এই স্টেশনে থামে না। এসব ট্র্রেন স্টেশনে থামলে এ অঞ্চলের মানুষের যাতাযাত, ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠবে। নতুনভাবে প্রাণ ফিরে পাবে ঐতিহাসিক স্টেশনটি।
আপনার মতামত লিখুন