শ্রীকৃষ্ণের আদর্শে ন্যায় ও সত্যের আলো ছড়ানোর প্রত্যাশা তিন বাহিনী প্রধানের

বিশেষ প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৩:৫০
শ্রীকৃষ্ণের আদর্শে ন্যায় ও সত্যের আলো ছড়ানোর প্রত্যাশা তিন বাহিনী প্রধানের

দেশে সর্বদা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ যেন শান্তিতে একসঙ্গে বসবাস করতে পারে—ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

শনিবার বিকেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আপনারা নিশ্চিন্তে এ দেশে বসবাস করবেন এবং ধর্মীয় উৎসব আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করবেন। শত শত বছর ধরে হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, পাহাড়ি-বাঙালি সবাই মিলেই এই দেশে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে আসছি। এই ঐতিহ্য আমাদের সবসময় অটুট রাখতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এই দেশ সবার। এখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না—ধর্ম, জাতি বা বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। সবার সমান অধিকার রয়েছে এ দেশের ওপরে। সামনের দিনগুলোতে আমরা সেই সমান অধিকারের ভিত্তিতেই এগিয়ে যাব।”

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “এই আনন্দঘন উৎসবে আমাদের সঙ্গে আপনাদেরকে শামিল করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা একসঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করব। ইনশাল্লাহ, এই উৎসবের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে, আর আপনাদের যে কোনো প্রয়োজনে আমরা সহযোগিতা করব।”

অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বলেন, “শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা শুধু অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাহসই দেয় না, ন্যায়ের পথে চলতেও অনুপ্রাণিত করে। বাংলাদেশ আমাদের সবার, আর স্বাধীনতাকে রক্ষা করা আমাদের যৌথ দায়িত্ব। সবাই মিলে কাজ করলে আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারব।”

নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, “পারস্পরিক সহনশীলতা দেশের শক্তি। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ সমাজে ন্যায় ও আলোর প্রদীপ প্রজ্বলিত করবে।”

পরে সেনাপ্রধান, বিমান বাহিনী প্রধান ও নৌ বাহিনী প্রধান একসঙ্গে প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক তাপস চন্দ্র পাল, ঢাকেশ্বরী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর উপস্থিত ছিলেন।

শোভাযাত্রাটি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে শুরু হয়ে পলাশীর মোড় ঘুরে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হয়।