সৈকতে ভেসে এলো নিখোঁজ চবি শিক্ষার্থী আসিফের মরদেহ, অরিত্র এখনো নিখোঁজ

জাফর আলম, কক্সবাজার :
প্রকাশ: ৯ জুলাই, ২০২৫, ৫:৩৫
সৈকতে ভেসে এলো নিখোঁজ চবি শিক্ষার্থী আসিফের মরদেহ, অরিত্র এখনো নিখোঁজ

প্রতীকী ফাইল ছবি

কক্সবাজারের নাজিরারটেক সৈকতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ শিক্ষার্থী আসিফ আহমদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় জেলেরা সাগরে মরদেহটি ভাসতে দেখেন। পরে ফায়ার সার্ভিস, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচ কর্মী ও সি-সেফ লাইফ গার্ডের সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করেন। এটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী আসিফ আহমদের বলে শনাক্ত করা হয়।

মরদেহটি উদ্ধারের স্থান, পেচারদ্বীপ সৈকত থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে নাজিরারটেক এলাকায়। এর আগের দিন (৮ জুলাই) একইভাবে পেচারদ্বীপ সৈকতে ভেসে ওঠে অপর নিখোঁজ শিক্ষার্থী কে এম সাদমান রহমানের মরদেহ। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তাদের আরেক সহপাঠী অরিত্র হাসান।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ অরিত্র হাসানকে উদ্ধারে জেট স্কি ব্যবহার করে সমুদ্রে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী—অরিত্র হাসান (২২), আসিফ আহমদ (২২) ও কে এম সাদমান রহমান—মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরের পেচারদ্বীপ সৈকতে গোসলে নামেন। সেখানেই ঢেউয়ের তোড়ে সাগরে ভেসে যান তারা। উদ্ধার হওয়া সাদমান ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা কেএম আনিছুর রহমানের ছেলে।

সি-সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, নিহতরা পাঁচ বন্ধু মিলে কক্সবাজারে ভ্রমণে এসেছিলেন। তারা সকলে চবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী। সকালে হিমছড়ি এলাকায় গোসলে নামেন। দুজন বাঁধের উপরে থাকলেও বাকি তিনজন নিচে নেমে গোসল করছিলেন। সেখানেই হঠাৎ ঢেউয়ের তোড়ে সাগরে ভেসে যান তারা।

সি-সেফ আরও জানায়, পেচারদ্বীপে এর আগেও এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। চলতি মাসেই এ নিয়ে আবার একাধিক প্রাণহানি হলো। গত মাসেও সেখানে গোসলে নেমে প্রাণ হারান ছয়জন।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের ১২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মাত্র ৩ কিলোমিটারেই আছে লাইফ গার্ডের নিয়ন্ত্রণ। তাদের সংখ্যাও অপ্রতুল। ফলে পর্যটকদের জন্য এই বিশাল সমুদ্রসৈকত দিনে দিনে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকদের সাগরে ডুবে মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে।